স্বামী বা’ইরে গেলেই অফিসের বসকে বা’সায় নিয়ে আস’তেন স্বপ্না

স্বামী ও দুই শিশু সন্তা’নকে রেখে কা’রখানার ম্যানে’জারের সঙ্গে পরী’কয়ায় জড়ি’য়েছিলেন এক নারী পোশা’ক কর্মী। বিষয়টি জানা’জানি হওয়ার পর ওই নারী এখন পর’কীয়া প্রে’মিককে স্বামী বলে দাবি করছেন। ঘট’নাটি ঘটেছে গাজীপুর সদর উপজে’লার বাঘে’র বাজার ঈ’দগামাঠ এ’লাকায়।

এলাকা’বাসী সূত্রে জানা গেছে, নয় বছর আগে মেম্বা’রবাড়ি এলাকার আব’দুস সাত্তা’রের ছেলে জাহাঙ্গী’রকে ভালো’বেসে বিয়ে করেন স্বপ্না (ছ’ন্দনাম)। জাহাঙ্গীর পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাদের ঘরে ফুট’ফুটে দুই শিশুপুত্র রয়েছে। কিন্তু স্বামী-স’ন্তানদের রেখেই কারখানা’র ম্যা’নেজারের সঙ্গে স’ম্পর্কে জড়ি’য়ে পড়ে’ন স্বপ্না।

জানা গেছে, মেম্বা’রবাড়ি এলাকায় একটি কার’খানা চাকরি করেন স্বপ্না। আর সেখানকা’র ম্যানেজা’র হলেন শাহরিয়ার পারভেজ। তিনিও বিবাহিত ও তার তিন’জন সন্তান রয়ে’ছে। তার গ্রামের বাড়ি নওগাঁ জে’লার সদর থানায়।

অভি’যোগ উঠেছে, কাজের কারণে স্বপ্নার রাজ’মিস্ত্রি স্বামী জাহাঙ্গীর বাড়ির বাইরে গেলেই পার’ভেজকে বাসায় নিয়ে আসতেন স্বপ্না। এছাড়া বিভিন্ন সময় রাতের ডিউ’টির কথা বলে স্বপ্নাকে নি’জের বাসায় রেখে দিতেন পার’ভেজ।

জাহাঙ্গীর জানান, গত বুধবা’র মধ্যরাতে বাড়ি এসে ডা’কা’ডাকি করে স্ত্রীর কোনো সা’ড়াশ’ব্দ না পেয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। প্র’তিবেশী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে রা’তভর স্ত্রী’কে খোঁ’জাখুঁজি করে ব্য’র্থ হন তিনি।

তিনি আরও জানান, পর’দিন ও আত্মী’য় স্বজনের বাসায় খোঁজ নিতে থাকেন। স্ত্রীর সন্ধা’নে চার বছর বয়সী শিশু সন্তানকে নিয়ে তিনি বৃহস্পতি’বার রাত ১০টার দিকে বা’ঘের বাজা’র গেলে তার ছোট্ট ছেলে পা’রভেজকে দে’খিয়ে দিয়ে বলে, ‘উনি (পারভেজ) আমার মা’য়ের সঙ্গে’ ঘুমায়’।

জাহাঙ্গীর তাৎক্ষ’ণিক স্ত্রীর সন্ধা’নে পার’ভেজের কাছে জা’নতে চাইলে তিনি পা’লা’নোর চেষ্টা করেন। পরে জনতার সহায়তায় তাকে আ’টক করা হয়। খবর পে’য়ে স্ব’প্না হাজির হয়ে পা’রভেজ’কে স্বা’মী দাবি ক’রেন এবং দুদিন আগে জাহা’ঙ্গীরকে তিনি তা’লাক দিয়ে’ছেন বলে জানান।

এ ব্যাপারে ভা’ওয়ালগড় ই’উনিয়নের ইউপি সদ’স্য শফি’কুল ইস’লাম যুগান্তরকে বলেন, এ বি’ষয়ে আ’মরা তি’নজনের স’ঙ্গেই কথা বলেছি। দুজনই ওই নারী’কে স্ত্রী হিসেবে নিতে চায়। বিষয়টি আমার পক্ষে সমা’ধান দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় পুলি’শকে খবর দিয়েছি।

পরে পুলিশ এসে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই নারীকে তার বো’নের জি’ম্মায় দেয়। আর আ’টক পারভে’জকে কা’রখানা কর্তৃপক্ষের জিম্মা’য় ছে’ড়ে দেওয়া হয়।এ ব্যাপারে জয়’দেবপুর থানার ওসি মামুন আল রশিদ যুগান্ত’রকে বলেন, এখনও কো’নো পক্ষ লি’খিত অভি’যোগ করেনি। অভি’যোগ পেলে আই’নগত সহা’য়তা দেওয়া হবে।